October 10, 2024, 8:28 am

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করিতে হবে – পর্ব ৯ আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি

কেশবপুরে করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পর্যাপ্ত সহায়তা, ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত, দূর্নীতিমুক্ত ভাবে ত্রান বিতরণসহ ৮ দফা দাবিতে কৃষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকেঃ

যশোরের  কেশবপুর উপজেলার কৃষক সমিতির উদ্যোগে ৮ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে । বুধবার বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কেশবপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে ইউএনও অফিসের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে । বাংলাদেশ কৃষক সমিতি যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান নান্নু নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন পীর আলী সরদার, সাগর হোসেন, আনন্দ চেীধুরী প্রমুখ ।বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে পর্যাপ্ত সহায়তা ও ধানের নায্য মূল্যের দাবীসহ ৮ দফা আশু বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছেন। দাবীসমূহ প্রথম দফা হলো কৃষকের ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলায় যথাসম্ভব হার্ভেস্টার মেশিন পাঠিয়ে সরকারি সহযোগিতা দিতে হবে। বেসরকারী হার্ভেস্টারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দর ঠিক করে দিতে হবে। দ্বিতীয় দফা হলো চলতি বোরো মৌসুমে ২০লক্ষ টন ধান ১,০৪০ টাকা দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং ১০ লক্ষ টন চাল চাতালের মাধ্যমে কিনতে হবে। তৃতীয় দফা হলো, করোনার প্রভাব, অকাল বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বিশেষত সবজি চাষি, পোল্ট্রি, ডেইরী ও গবাদিপশু খামারীদের জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা সরাসরি দেওয়া। সকল কৃষকদের ২% হারে সরল সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা। চতুর্থ দফা হলো, সবজি জাতীয় কৃষিপণ্য সরকারী উদ্যোগে বাজারজাত করার ব্যবস্থা গ্রহন, ডিম, দুধ, ত্রাণ-সাহায্যের সাথে যুক্ত করে জনগণের মাঝে বিতারণ করা। ত্রাণ-সাহায্যে বিতারণে দুর্ণীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণ বন্ধ করা। পঞ্চম দফা হলো, অনাবাসী ক্ষেতমুজুরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা থাকা খাওয়া বন্দোবস্তো ও নিরাপদ যাতায়াতের করা এবং এসব পরিবারকে ১মাস চলার মতো ত্রাণ-সাহায্য দিতে হবে এসব ক্ষেতমজুদদের মুজুরী নির্ধারণ করে দেওয়া। ছয় দফা হলো চিনিকল সমূহের আখচাষীদের পাওনা ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। সাত দফা হলো গ্রামাঞ্চালে কর্মরত সকল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবহন ও কৃষি শ্রমিকদের সুরক্ষায় মাস্ক ও পিপিই-র ব্যবস্থা করতে হবে। অষ্টম দপা হলো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসাবে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারী ক্রয়কেন্দ, খাদ্য গুদাম ও সবজিচাষ অধ্যুষিত অঞ্চলে হিমাগার নির্মান করতে হবে। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির ৮ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের অর্থনৈতিক শক্তিকে ভূমিকা রাখতে সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৯ এপ্রিল ২০২০/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর